ক্ষমা (Sorry)
ক্ষমা করা দ্বন্দ্বের আগুন নেভাতে পারে
এটার অর্থ
ক্ষমা করার অর্থ হল কোনো দোষ ছেড়ে দেওয়া ও এর কারণে বিরক্তির যে-অনুভূতি সৃষ্টি হতে পারে, তা পুষে না রাখা। ক্ষমা করার অর্থ এটা নয় যে, আপনি ভুলটাকে হালকাভাবে নেন কিংবা এমন ভান করেন, যেন তা কখনোই ঘটেনি।
“আপনি যখন কাউকে ভালোবাসেন, তখন সেই ব্যক্তির অসিদ্ধতার প্রতি নয় বরং সে কেমন ব্যক্তি হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে, সেটার প্রতি মনোযোগ দেবেন।”
যে-কারণে এটা গুরুত্বপূর্ণ
আপনি যদি বিরক্তি পুষে রাখেন, তা হলে আপনি শারীরিক ও আবেগগতভাবে নিজের ক্ষতি করতে পারেন আর আপনি নিজের বৈবাহিক বন্ধনকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেন।
“একবার আমার স্বামী এমন একটা বিষয়ের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছিল, যেটার কারণে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। আমার পক্ষে তাকে ক্ষমা করা কঠিন ছিল। শেষপর্যন্ত আমি তাকে ক্ষমা করেছিলাম, তবে আরও আগে তাকে ক্ষমা করিনি বলে আমি আপশোস করেছিলাম। সেই কারণে আমাদের সম্পর্কের উপর অযথা চাপ সৃষ্টি হয়েছিল।”
আপনি যা করতে পারেন
নিজেকে পরীক্ষা করুন
পরের বার আপনার সাথির কোনো কথা অথবা কাজের কারণে কষ্ট পেলে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন:
- ‘আমি কি খুব সহজেই কষ্ট পাই?’
- ‘ভুলটা কি এতটাই গুরুতর যে, সেটার জন্য তাকে আমার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, না কি আমি সেটা উপেক্ষা করতে পারি?’
আপনার সাথির সঙ্গে আলোচনা করুন
- একে অন্যকে ক্ষমা করার জন্য আমাদের সাধারণত কতটা সময় লাগে?
- একে অন্যকে আরও তাড়াতাড়ি ক্ষমা করার জন্য আমরা কী করতে পারি?
পরামর্শ
- আপনি যখন আপনার সাথির উপর অসন্তুষ্ট হন, তখন এমনটা ভেবে নেবেন না যে, তার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে।
- “আমরা সকলে অনেক প্রকারে উছোট খাই,” এই বিষয়টা মনে রেখে আপনার সাথির আচরণ ক্ষমা করার চেষ্টা করুন।
“যখন দু-জনেরই ভুল থাকে, তখন ক্ষমা করা সহজ কিন্তু দোষটা যখন এক পক্ষের, তখন তা ক্ষমা করা খুব কঠিন। কেউ দোষস্বীকার করলে তা মেনে নেওয়ার ও তাকে ক্ষমা করার জন্য আন্তরিক নম্রতা প্রয়োজন।”
আপনি যদি বিরক্তি পুষে রাখেন, তা হলে আপনি শারীরিক ও আবেগগতভাবে নিজের ক্ষতি করতে পারেন আর আপনি নিজের বৈবাহিক বন্ধনকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেন
0 comments:
Post a Comment
আপনার যদি কোনও সন্দেহ থাকে তবে দয়া করে আমাকে জানান।