ভাববিনিময়
ভাববিনিময় হল একটা সেতুর মতো, যা আপনাদের ও সন্তানের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে,
এটার অর্থ
প্রকৃত ভাববিনিময় তখনই হয়, যখন উভয় পক্ষের অর্থাৎ আপনাদের ও সন্তানের চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি বিনিময় করা হয়।
যে-কারণে এটা গুরুত্বপূর্ণ
বিশেষভাবে তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে ভাববিনিময় করা কঠিন হতে পারে। হয়তো কিছু দিন আগেও “এমন মনে হতো যেন আপনার সন্তান জীবনের যে-মঞ্চে অভিনয় করছে, সেই মঞ্চের পিছনে যাওয়ার অনুমতি আপনার আছে। কিন্তু এখন, দর্শকের মাঝে আসন পাওয়াটাই বড়ো ব্যাপার আর যে-আসনটা আপনি পাবেন, সেটা যে খুব ভালো হবে এমন সম্ভাবনাও কম,” আচরণবিধি লঙ্ঘন করা (ইংরেজি) নামের একটা বই বলে। তবে, সন্তানরা যখন কথা বলতে চায় না বলে মনে হয়, তখনই তাদের সঙ্গে ভাববিনিময় করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন!
আপনি যা করতে পারেন
সন্তানের সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিন। যদি তা করার জন্য আপনাকে অনেক রাত পর্যন্ত কথাবার্তা বলতে হয়, তারপরও সেটা করুন।
“আপনার হয়তো এমনটা বলার ইচ্ছা হতে পারে, ‘এখন তোমার সময় হয়েছে? সারা দিনই তো তোমার সঙ্গে ছিলাম, তখন বলতে পারনি!’ কিন্তু সন্তানরা যদি আমাদের কাছে নিজেদের অনুভূতি বলতে চায়, তা হলে কীভাবে আমরা তাদের উপর বিরক্ত হতে পারি? সব বাবা-মা কি এটাই আশা করে না?”
“আমি বেশি রাত জাগতে পছন্দ করি না। তবে কয়েক বার এমন হয়েছে, আমার তরুণবয়সি সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে মধ্যরাত পার হয়ে গিয়েছে আর সেই আলোচনা খুব ভালো হয়েছে।”
অন্যমনস্ক হয়ে পড়বেন না।
একজন বাবা স্বীকার করেন: “মাঝে মাঝে এমন হয়, বাচ্চারা কথা বলার সময় আমি অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করতে থাকি। আমি যে তাদের কথা শুনছি না, তারা সেটা বুঝে ফেলে!”
আপনার ক্ষেত্রেও যদি এমন হয়, তা হলে টিভি ও অন্যান্য ডিভাইস বন্ধ করুন। সন্তান যা বলছে সেটার প্রতি মনোযোগ দিন এবং তাকে বুঝতে দিন, আপনি তার উদ্বিগ্নতার প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছেন, তা সেটা যত সামান্য বলেই মনে হোক না কেন।
“সন্তানদের এই ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে হবে যে, তাদের অনুভূতি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তারা যদি বিপরীতটা মনে করে, তা হলে তারা তাদের উদ্বিগ্নতা আমাদের কাছে প্রকাশ করবে না অথবা অন্য কোথাও সাহায্য খুঁজবে।”
“আপনার সন্তানদের চিন্তাভাবনা যদি পুরোপুরি সঠিক না-ও হয়, তবুও অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না।”
স্বাভাবিক পরিবেশের সুযোগ নিন। মাঝে মাঝে, সন্তানরা সেই সময়ে মন খুলে“রাতের খাবারের সময় আমরা প্রত্যেকে সেই দিনের সবচেয়ে খারাপ ঘটনা ও সবচেয়ে ভালো ঘটনা সম্বন্ধে বলি। এই অভ্যাস বজায় রাখার ফলে আমরা একতাবদ্ধ হই ও প্রত্যেকে বুঝতে পারি, কোনো সমস্যা সমাধান করার জন্য সবসময়ই আমাদের পাশে কেউ-না-কেউ রয়েছে।”—রবিন। বলে, যখন তাদের বাবা অথবা মায়ের মুখোমুখি বসে কথা বলতে হয় না।
“আমরা গাড়ি চালানোর সময় কথা বলার সুযোগ নিই। সামনাসামনি না বসে পাশাপাশি বসে থাকার ফলে, বেশ ভালো কথাবার্তা হয়।
খাবার খাওয়ার সময়ও সাধারণ কথাবার্তা বলার সুযোগ থাকে।
“রাতের খাবারের সময় আমরা প্রত্যেকে সেই দিনের সবচেয়ে খারাপ ঘটনা ও সবচেয়ে ভালো ঘটনা সম্বন্ধে বলি। এই অভ্যাস বজায় রাখার ফলে আমরা একতাবদ্ধ হই ও প্রত্যেকে বুঝতে পারি, কোনো সমস্যা সমাধান করার জন্য সবসময়ই আমাদের পাশে কেউ-না-কেউ রয়েছে।”
0 comments:
Post a Comment
আপনার যদি কোনও সন্দেহ থাকে তবে দয়া করে আমাকে জানান।